বাংলাদেশ ওভারসিজ ইমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (বোয়েসেল) মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন প্রদেশে কৃষি ও মৎস্যখাতে মৌসুমি শ্রমিক হিসেবে ২০০ জন বাংলাদেশি শ্রমিক নেয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ২০ আগস্টের মধ্যে গুগল ডকস ফরমে আবেদন করতে হবে। আবেদনের পর প্রার্থীর সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হবে।
বোয়েসেলের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন প্রদেশে কৃষি ও মৎস্যখাতে মৌসুমি শ্রমিক হিসেবে ২০০ জন বাংলাদেশি শ্রমিক নেয়া হবে।চাকরির মেয়াদ সর্বোচ্চ পাঁচ মাস। দৈনিক আট ঘণ্টা করে কাজ করতে হবে। সাপ্তাহিক ছুটি এক দিন। মাসিক বেতন প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা।
চাকরির শর্ত:
ভিসার ধরন-ই-৮। সুঠাম দেহের অধিকারী ও কঠোর পরিশ্রমী হতে হবে। বয়স ৩০ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে হতে হবে। চাকমা, মারমা, গারো, সাঁওতাল ও অন্যান্য ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রার্থীরা অগ্রাধিকার পাবেন। এ ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সনদ দাখিল করতে হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কাজের অভিজ্ঞতার সনদ দাখিল করতে হবে। পাসপোর্টের মেয়াদ ন্যূনতম এক বছর থাকতে হবে।
আবেদনের যোগ্যতা:
নিয়োগকর্তার চাহিদা মোতাবেক ওভারটাইমের সুযোগ আছে। কৃষি ও মৎস্য চাষে দুই বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। পুরুষ ও নারী উভয়ে আবেদন করতে পারবেন (গর্ভবতী নারী আবেদন করতে পারবেন না)। মাদকাসক্ত ব্যক্তিরা অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। যার নামে ইতঃপূর্বে রাষ্ট্রীয় নির্দেশে কারান্তরিন বা কঠোর শাস্তি হয়নি। যার ওপর বিদেশযাত্রার বিষয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই বা যেতে কোনো সমস্যা নেই। নিয়োগকর্তার চাহিদা মোতাবেক কর্মকাল সম্পন্ন করলে পরবর্তী ধাপে চাকরিতে অগ্রাধিকার পাবেন। দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়া-আসার বিমানভাড়া কর্মীর বহন করতে হবে। কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়ার আগে নিজ ব্যয়ে সাত দিনের সঙ্গনিরোধ করতে হবে।
আবেদন যেভাবে করতে হবে
নির্ধারিত গুগল ডকসের এ লিংকে ইংরেজিতে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
সার্ভিস চার্জ
বোয়েসেলের সার্ভিস চার্জ বাবদ ১৫ হাজার টাকা, ভ্যাট, ট্যাক্স, ভিসা, স্মার্টকার্ড, কল্যাণ তহবিল, বিমা, ডেটাবেজ রেজিস্ট্রেশন ও অন্যান্য ফি বাবদ ১৪ হাজার ৮৯০ টাকাসহ মোট ২৯ হাজার ৮৯০ টাকা প্রদান করতে হবে। নির্বাচিত প্রার্থীদের জামানত বাবদ ৫০ হাজার টাকা (ফেরতযোগ্য) প্রদান করতে হবে। সংশ্লিষ্ট প্রার্থী ও অভিভাবক/সুপারিশকারীর কাছ থেকে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা গ্রহণ করা হবে। নির্ধারিত সময় শেষে ফিরে না এলে জামানত বাজেয়াপ্ত করা হবে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্মী এবং তার অভিভাবক/সুপারিশকারীর নামে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে নিয়োগকর্তার মাধ্যমে সিসিভিআই/ ভিসাসংক্রান্ত কার্যাদির জন্য প্রমাণাদি প্রাপ্তি সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বোয়েসেল গ্রহণ করবে। বিস্তারিত তথ্য এ লিংক জানা যাবে।
সুযোগ-সুবিধা
অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কোরিয়ার শ্রম আইন অনুযায়ী প্রযোজ্য হবে। বিজ্ঞাপন/কর্মী নির্বাচন দক্ষিণ কোরিয়ায় চাকরির নিশ্চয়তা বহন করে না। নির্ধারিত সময় শেষে কর্মীকে বাংলাদেশে ফিরে আসতে হবে। নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের তদবির বা সুপারিশ অযোগ্যতা বলে গণ্য হবে। EPS প্রার্থী বা আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থান করেছেন তাদের আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়।